ওয়ার্ল্ড ভিশন একটি খ্রিষ্টান ত্রান, উন্নয়ন এবং এডভোকেসি সংস্থা। শিশু ও তার পরিবার এবং সমাজ থেকে দারিদ্র এবং অবিচার দূরীকরণের লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন কাজ করছে।১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ্রে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটি খ্র্রিষ্ঠীয় ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ কিম্বা সক্ষমতা নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী দরিদ্রতম ও সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্থ শিশু এবং সমাজের জন্য সেবা প্রদানে নিবেদিত।
সংস্থাটির ভিশন হলো: “প্রতিটি শিশুর জন্য আমাদের স্বপ্ন, জীবন তার ভরে উঠুক পরিপূর্নতায়; প্রতিটি হৃদয়ের জন্য আমাদের প্রার্থনা, অর্জিত হয় যেন তা ইচ্ছার দৃঢ়তায়”। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কোরিয়ার যুদ্বের পরবর্তী সময় সংস্থাটি প্রতিষ্ঠাতা ড. বব পিয়ার্স অনাথ শিশুদের সাহায্যার্থে চাইল্ড স্পস্সরশীপ নামের একটি কর্মসূচী চালু করেন।১৯৭০ খিস্টাব্দে উপকুলীয় এলাকায় প্রলয়ংকরী সাইক্লোন ও জলোচ্ছাসে সাড়া প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংস্থাটির পদচারনা শুরু। ওয়ার্ল্ড ভিশন সে সময় ভোলা জেলায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জরুরী ত্রাণসাহায্য পাঠায়।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওয়ার্ল্ড ভিশন ভারতে বাংলাদেশী শরণার্থীদের মধ্যে ত্রানসাহায্য বিতরণ করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের আহ্ববানে যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে সংস্থাটি ত্রাণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে।১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, নেত্রকোনার দুর্গাপুর এবং ময়মনসিংহের কিছু শিশু নিয়ে এর স্পস্সরশিপ প্রোগ্রাম শুরু করে।১৯৭৪ খিস্টাব্দে সংস্থাটি ঢাকায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ৭০ টি এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এডিপি) মাধ্যমে, ৩১ টি জেলায় সরকারের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। সংস্থাটি প্রায় ১,৮৫,০০০ রেজিষ্টার শিশুর (স্পস্সরড চাইল্ড) উন্নয়নে সরাসরি কাজ করছে।
ক্রম | উপজেলার নাম | নিয়মিত | অনিয়মিত | স্বেচ্ছাসেবি | সর্বমোট | ||||||
পুরুষ | মহিলা | মোট | পুরুষ | মহিলা | মোট | পুরুষ | মহিলা | মোট | |||
০১ | সিলেট সদর | ৮ | ০ | ৮ | ১ | ০ | ১ | ৬ | ১১ | ১৭ | ৩৭ |
০২ | গোয়াইনঘাট | ৩ | ০ | ৩ | ০ | ০ | ০ | ৬ | ৫ | ১১ | ১৪ |